আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অক্টোবরে ৪০৫ সড়ক দুর্ঘটনায়
সংগৃহীত

অক্টোবরে ৪০৫ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩৭৭


অক্টোবর মাসেই ৪০৫ সড়ক দূঘর্টনায় প্রাণ হারালো ৩৭৭ জন

আট বছরের মধ্যে ২০২২ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে দেশে আন্দোলন কম হয়নি; বিশেষ করে চার বছর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দেশজুড়ে তোলপাড় তৈরি করেছিল। সড়ক পরিবহনব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফেরার আশা করা হলেও বাস্তবে তা হয়নি।এদিকে ২০২৪ অক্টোবর মাসে সমগ্র বাংলাদেশ ৪০৫টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৩৭৭ জন নিহত হয়েছেন,আহত হয় অন্তত ৪১৫ জন ব্যক্তি।রোববার (১৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন স্বাক্ষরিত সড়ক দুর্ঘটনা এক প্রতিবেদনে এইসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়। বিআরটিএ’র বিভাগীয় অফিসের মাধ্যমে সারাদেশের সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান সংগ্রহ করা হয়েছে।বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে সর্বমোট ৬৩০টি গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়। এর মধ্যে মোটরকার/জিপ ১৬টি, বাস/মিনিবাস ১০১টি, ট্রাক/কাভার্ডভ্যান ১৩১টি, পিকআপ ২৯টি, মাইক্রোবাস ১০টি, অ্যাম্বুলেন্স ৩টি, মোটরসাইকেল ১৩৬টি,ভ্যান ১৮টি, ট্রাক্টর ৫টি, ইজিবাইক ২১টি, ব্যাটারিচালিত রিকশা ১৬টি, অটোরিকশা ৩৩টি এবং অন্যান্য যানবাহন ছিল ১১১টি।
মোটরকার বা জিপ দুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত, বাস/মিনিবাস দুর্ঘটনায় ৪২ জন নিহত, ট্রাক/কাভার্ডভ্যান দুর্ঘটনায় ৮২ জন, পিকআপ দুর্ঘটনায় ১২ জন, মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় ২ জন, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১১০ জন, ভ্যান দুর্ঘটনায় ১২ জন, ট্রাক্টর দুর্ঘটনায় একজন, ইজিবাইক দুর্ঘটনায় ১৪ জন, ব্যাটারিচালিত রিকশা দুর্ঘটনায় ১৮ জন, অটোরিকশা দুর্ঘটনায় ৩৪ জন ও অন্যান্য যানের দুর্ঘটনায় ৭৯ জন নিহত হয়েছেন।বিভাগভিত্তিক নিহতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১১৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪৭ জন, খুলনা বিভাগে ৩৪ জন, বরিশাল বিভাগে ২২ জন, সিলেট বিভাগে ২৩ জন, রংপুর বিভাগে ৫৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৫ জন রয়েছেন।বিভাগীয় অফিসের মাধ্যমে সারা দেশের সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান সংগ্রহ করা করা হয়েছে বলে জানায় বিআরটিএ।
অক্টোবরে ৪০৫ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩৭৭

সংগৃহীত

এই বিষয়ে চট্টগ্রাম বিআরটিএ বিভাগীয় উপ- পরিচালক ভোরের ডাক পত্রিকা কে বলেন-

৪৭৭ সড়ক দুর্ঘটনায় কেউ মারা গেলে শুধু একটি পরিবারে দুঃখ ও হাহাকার নেমে আসে তা-ই নয়, দেশের অর্থনীতিতেও এর প্রভাব কম নয়। পুলিশ, বিআরটিএ এবং বেসরকারি সংস্থাগুলো যে পদ্ধতি ও প্রক্রিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করে, তাতে সড়ক দুর্ঘটনার সঠিক চিত্র বা খুব কাছাকাছি চিত্র তুলে আনা সম্ভব নয়। আসলে প্রকৃত চিত্র অনেক বেশি ভয়াবহ। সড়ক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, সড়কে যাতায়াতের সময় ৩০০০ অনিরাপদ কাজ বা আচরণের ফলে ৩০০টি ‘দুর্ঘটনা ঘটতে যাওয়ার মতো ঘটনা’ ঘটে। এই ৩০০ ঘটনা ২৯টি আহত হওয়ার ঘটনা বা সম্পদ নষ্ট হওয়ার মতো ঘটনা ঘটায়।

তিনি আরও বলেন-

চালকের বেপরোয়া মনোভাব, বিপজ্জনক পাল্লাপাল্লি, সড়কের বেহাল অবস্থা, ফিটনেসবিহীন গাড়ির চলাচল, চালকের অদক্ষতা, হেলমেট বিহীন বাইক চালানো, যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতার জন্যই মূলত সড়ক দুর্ঘটনা হয়ে থাকে। তবে প্রতিনিয়ত আমাদের ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা হচ্ছে, দুর্ঘটনা রোধে আমাদের টিম সর্বদা মাঠে কাজ করছে,প্রশ্ন হলো, দুর্ঘটনার কারণ জানা সত্ত্বেও তার প্রতিকার হয় না কেন? মানুষের জীবন রক্ষায় সড়কে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই
আরো পড়ুন 
আব্দুল্লাহ আল মারুফ নিজস্ব প্রতিবেদক  >>>

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর